করোনাকালে শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য মাথাপিছু দুই হাজার ৬০০ টাকা করে বিল দেবে গাজীপুরে অবস্থিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি,বাংলাদেশ।’ করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম সচল রেখেছে দেশের প্রথম ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়টির ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণ, ড়্রুপ ওয়ার্ক, প্রেজেন্টেশন এবং অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেওয়ার মত কাজগুলো সম্পন্ন করছেন। ক্লাসগুলো ফ্লিপ্ড পদ্ধতিতে কোলাবোরেটিভ লার্নিং প্যডাগোজিতে নেওয়া হচ্ছে।
অনলাইন ক্লাস থেকে ঝরে পড়া রোধ এবং অনলাইন শিক্ষায় উৎসাহিত করতে শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ক্লাস এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ই-লাইব্রেরি ব্যবহার করার জন্য ইন্টারনেট বিল বাবদ বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ১৬৩ জন শিক্ষার্থীকে ২৬০০ করে টাকা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর।
মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের অনুমোদক্রমে শিক্ষার্থীদের মোবাইল নম্বরে নগদ একাউন্টের মাধ্যমে এই টাকা পৌঁছে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি দপ্তর।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর বলেন, কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে দীর্ঘ এই বন্ধে শিক্ষার্থীরা পড়াশুনা থেকে দূরে সরে যেতে পারে। তাই অনলাইন ক্লাস তাদের যথাসময়ে কোর্স সম্পূর্ণ করতে এবং তাদেরকে সঠিক পথে রাখতে সহায়তা করবে। তাছাড়া এর ফলে তাদের সেশন জটে পড়তে হবে না।
উপাচার্য বলেন, ইন্টারনেট ব্যয় বেশি হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম থেকে ঝরে পড়ছে। মূলত তাদের অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে ফিরিয়ে আনতে এই উদ্যোগ। আশাকরি এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে উৎসাহিত হবে এবং শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, যেহেতু বিডিইউ’র ক্লাসগুলো নিয়মিতভাবে পরিচালিত হচ্ছে সেহেতু আমরা সময় মতো আমাদের সেমিস্টার শেষ করতে পারবো। অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বর্তমানে চলমান এই মহামারীকালীন সময়কে কাজে লাগিয়ে সঠিক পথে চলেছে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য কাস্টমাইজড এবং সুগঠিত লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, ভার্চুয়াল মেশিন (ভিএম) রয়েছে। তারা যে কোনো জায়গা থেকে তাদের ভিএম অ্যাক্সেস করতে পারে। আমরা সকল শিক্ষার্থীকে প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল সরবরাহ করেছি।